পশ্চিমা শক্তিগুলোর সব হুমকি ও জাতিসংঘের অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রতিবেশি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউক্রেনের বিভিন্ন বড় শহরে একযোগে চালানো সেই হামলা থেকে রক্ষা পায়নি রাজধানী কিয়েভও।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত কি না তা এখনই বলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে একে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সঙ্ঘাত বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ তাজা করলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষেরা।

দেশটির দেওয়া এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষরা ইউক্রেনের সীমানা ত্যাগ করতে পারবেন না। এই নিয়ম সামরিক আইন বজায় থাকা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আমরা নাগরিকদের এই তথ্য এখন থেকেই মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।’

তবে এই পুরুষদের সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হবে কি না তা নিয়ে এখনই কিছু পরিষ্কার করেনি ইউক্রেন সরকার।

এদিকে, রাশিয়ার হামলার দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিবিসি জানায়, শুক্রবার সকাল থেকেই কিয়েভে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে, রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ভণ্ডুল করে দিয়েছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তারা শক্রুপক্ষের একটি বিমানও ভূপাতিত করেছে।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডার্নাৎস্কি জেলায় একটি নয় তলা ভবনের ওপর রাশিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই ঘটনায় অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম দিনে সেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন।

সূত্র: আনন্দবাজার, এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি

 

কলমকথা/ বিথী